শহরে পরপর চুরি , ঘটনায় ক্ষোভ নাগরিকদের : নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন বাঁকুড়ায়

9th August 2020 10:50 am বাঁকুড়া
শহরে পরপর চুরি , ঘটনায় ক্ষোভ নাগরিকদের : নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন বাঁকুড়ায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বাঁকুড়া শহরের দুই নাম্বার ওয়ার্ডে চুরি যেন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে!  এই ওয়ার্ডের কান্তি বাবুর লেনের চুরির রেশ কাটতে না কাটতে আজ ভোররাতে ফের চুরির ঘটনা ঘটল এই ওয়ার্ডের নাপিত গলিতে। এখানকার দুটি বাড়ীতে চুরির ঘটনা ঘটে। দুই চোর তালা ভেঙ্গে দুটি বাড়ীতে ঢোকে। একটি বাড়ীর ইমেটেশনের অর্রনামেন্টের মজুত ঘরে ঘন্টা দুই আপারেশন চালায় চোরেরা। আচমকা হাত থেকে শাবল মেঝেতে পড়তেই শব্দ শুনে ঘটনা টের পেলে, লোকজন জেগে গিয়ে দুই চোরকে ঘিরে ফেলে। খবর পেয়ে পোদ্দার পাড়ায় ডিউটিরত সিভিক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চোরকে ধরতে গেলে তার হাতে ভোজালী দিয়ে আঘাত করে চম্পট দেয় চোরেরা। দেখুন চুরির অপারেশনের লাইভ ভিডিও। এদিকে,পর,পর এলাকায় চুরি হওয়ায় এলাকার মানুষ তাদেএ নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। পাশাপাশি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আশিস দে জানান চোরের তার ক্যাস বাক্সে জমানো প্রায় ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। ফলে লকডাউনের বাজারে এই চুরির ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।স্থানীয়দের অভিযোগ একই চোরের টিম এলাকায় পর,পর চুরির ঘটনা ঘটালেও তাতে রাশ টানতে অপারগ বাঁকুড়া সদর থানা।ফলে আতঙ্ক বাড়ছে সারা শহর জুড়ে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।